ছায়াদের শহরে
এই শহর এক প্রতিজ্ঞার ভেতর জন্ম নেয়,
যেখানে সবাই বাঁচে, কিন্তু কেবল নিজের জন্য।
মোহের মতোন ঝলমলে আলোকছায়া আড়াল করে দেয়
কার কতোটা ক্ষয় হচ্ছে ভিতরে
ভালোবাসা নয়—এখানে আকাঙ্খা বড়ো সত্য,
কে উঠবে ওপরে, কে কাকে পেছনে ফেলে দেবে,
তাতেই বাঁধা থাকে মানুষের মর্যাদা।
আসক্তি জন্ম নেয় ক্ষমতার, পদমর্যাদার,
আর মায়া—সে এখন বিজ্ঞাপনের ভাষায় বাঁধা চাহিদা
মানুষ মানুষকে শুধু আকড়ে ধরে
যতক্ষণ না তার প্রয়োজন ফুরায়।
অনুপস্থিতি এখানে কাউকে কাঁদায় না,
কারণ সবাই অভ্যস্ত হয়ে গেছে “থাকার অভিনয়” দেখে।
স্বার্থের হিসাব চলে নিঃশ্বাসেও,
এমনকি বন্ধুত্বের খাতায়ও এখন ফুটনোট থাকে।
মুক্তি চাই, তবে সেটা শুধুই মুখে—
আসলে আমরা সবাই আবেগে বন্দি,
নিজের ব্যক্তিত্ববোধকে গলা টিপে ধরি,
যাতে ভিড়ের মধ্যে নিজেকে আলাদা না লাগে।
যখন কেউ ত্যাগ করে কিছু
তাকে বলে ‘বোকা’—
কারণ এই সমাজ জানে না কৃতজ্ঞতা,
জানে কেবল লেনদেন।
একদিন হয়তো সব বিলুপ্ত হয়ে যাবে—
মানবতা, সহানুভূতি, একে অন্যের জন্য হাত বাড়ানো।
তখন আকাশে আক্ষেপের মতো ঘুরবে প্রশ্ন—
"মানুষ কি সত্যিই একে অপরকে ভালোবেসেছিলো ?"
অসমাপ্ত
কার্নিশে দিন,
ঘড়িতে এলার্ম
সময় ফুরিয়ে ভাবি,
আহা! কি পেলাম!
ছায়া হাঁটে পাশে পাশে
আঁধারে হারায়
হাহাকারে কিছু ভুলে
কেনো সে পালায়?
বাঁশি ভরা সুরগুলো
দূরে ভেসে যায়।
ঘরে ফেরা মন
কিযে অকারণ
আক্ষেপে বেজে যায়
তার টেলিফোন।